পৃষ্ঠা

Sunday, February 1, 2015

মুখে ঘা ও প্রতিরোধ

মুখে ঘা:

মুখের ভেতর ছোট ছোট দানা। ঝাল কোনো খাবার খেলেই যন্ত্রণা বেড়ে যায়। মনে হতে পারে, এটি কঠিন কোনো অসুখ। আসলে মুখের ভেতরের ঝিল্লি আবরণ কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হলে মুখে ছোট ছোট দানার মতো ঘা দেখা দেয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এমনিতেই সেরে যায়। কিন্তু বারবার মুখে ঘা হলে এবং তা না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। মুখে ঘা মারাত্মক কোনো রোগ নয় চিকিৎসার পরও যদি মুখের ঘা দু-তিন সপ্তাহ স্থায়ী হয়, তখন এর সঠিক কারণ বের করার জন্য পরীক্ষা করাতে পারেন। সাধারণত অজান্তে মুখ বা জিবে কামড় পড়লে, শক্ত টুথব্রাশ বা সুচালো বাঁকা দাঁতের আঘাতে, দাঁত ক্ষয়রোগ এবং মুখের পরিচ্ছন্নতা বজায় না থাকলেই ঘন ঘন মুখে ঘা হয়ে থাকে। এ ছাড়া নানা ধরনের ভাইরাস বা ছত্রাকের সংক্রমণ, ভিটামিনের অভাব, বিভিন্ন
ওষুধের প্রতিক্রিয়ায়ও ঘা হতে পারে। যাঁদের অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, হূদেরাগ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দীর্ঘদিন ধরে ওষুধ গ্রহণ করছেন, তাঁদের মুখে জীবাণু বিস্তার করে এমন ঘা হতে পারে। লিউকোমিয়া, লাইকেন প্লানাস ইত্যাদি কারণেও মুখে ঘা হতে পারে। তবে সাধারণত সবচেয়ে বেশি যে কারণে মুখে ঘা হয়, তাকে বলে অ্যাপথাস আলসার। জিব, মাড়ি ও মুখের ভেতর দিকে অনেকটা ব্রণের মতো দেখতে সাদা ফুসকুড়ি বের হয়। এটি বারবার হয়। বিশেষ কোনো ভিটামিনের স্বল্পতা, কোনো দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখের অস্বাস্থ্যকর অবস্থা, মানসিক অস্থিরতা ইত্যাদি কারণে হয়ে থাকে। তবে রক্ত পরীক্ষার পর জেনে নিতে হবে কী কারণে এ ধরনের ঘা হচ্ছে। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ খেলে সেরে যাবে।

কী করতে হবে:

 
-প্রচুর পানি পান করুন।
-লবণ-পানি দিয়ে বারবার কুলি করুন।
-মেডিকেটেড মাউথওয়াশ (Mouthwash) অ্যান্টিসেপটিক জেল
ব্যবহার করতে পারেন।
-মাড়িতে প্লাক জমলে তা অবশ্যই
স্কেলিং (Tooth Scaling) করিয়ে পরিষ্কার করতে হবে।
-ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য দীর্ঘমেয়াদি রোগের সঠিক
চিকিৎসা বা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
-ভিটামিন ‘বি’-র স্বল্পতা, দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা, মুখ
অপরিষ্কার, মানসিক
অস্থিরতা ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে।
-নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা।
-ধূমপান, জর্দা দিয়ে পান ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস
ত্যাগ করা।
-প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ সেবন করুন।


মুখ ও জিবের পরিচ্ছন্নতা:

 
-প্রতিদিন দুবার অন্তত দুই মিনিট ধরে দাঁত ব্রাশ
করবেন
-দুই থেকে তিন মাস অন্তর ব্রাশ পরিবর্তন করবেন
-চিনি, চিনির তৈরি খাবার—যেমন মিষ্টি,
চকলেট, জুস, কোমল পানীয়
ইত্যাদি বেশি খাওয়া ঠিক নয়। আঠালো চকলেট আরও
ক্ষতিকর।
-প্রতিদিন লবণ-পানি দিয়ে কুলি করার অভ্যাস
ভালো।
-ধূমপান বন্ধ করুন। গুল-জর্দা বা তামাক ব্যবহার
করবেন না।



-বছরে দুই বার অন্তত Dentist এর পরামর্শ নিন।

No comments:

Post a Comment